বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

শুভ বিজয়া ও শান্তির সুর

বলরাম দাশ অনুপম:

শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতনী সম্প্রদায় তথা বাঙ্গালীর একটি প্রাণের উৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে মিলন ঘটে সকল ধর্ম, বর্ণ ও বয়সের মানুষের। এ উৎসবমুখর মিলনমেলায় সামিল হয় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। শরতের শিশির ভেজা সকালে, শিউলি ফুলের সুমধুর সুবাসে, পত্র-পল্লবে শারদীয় দুর্গাপূজার আমেজ মানুষের মনকে উদাস ও উদার করে। আকর্ষন করে সকল মানুষকে সমানভাবে, সহমর্মিতার, সম্প্রতির চেতনায়। অবশ্যই এবার শরতের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে হেমন্তে।

শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন অর্থ্যাৎ শুভ বিজয়া বা প্রতিমা বির্সজনের দিন লাখো মানুষের মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বিশাল সৈকতের বালিয়াড়ি জুড়ে থাকে সম্প্রতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ থাকা কক্সবাজারের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সুশীল সমাজ ও শ্রেণী-পেশার মানুষের পদচারণা। তার সাথে যোগ হয় জেলা ছাড়িয়ে বাইরের জেলা থেকে আসা পর্যটক নর-নারীদের মেলবন্ধন। সব মিলিয়ে লাখো নর-নারীর মিলনমেলার মধ্যে দিয়ে আগামী বছর আবার ধরাধামে দেবী দুর্গাকে আর্বিভূত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে শুভ বিজয়ার দিনে সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

শুভ বিজয়ার বার্তা বয়ে আনে শান্তির সুর, শুরু করে প্রগতির পথে নতুন অভিযাত্রার। বলতে গেলে শারদীয় দুর্গাপূজা এখন আর হিন্দু সম্প্রদায়ের একক উৎসব নয়, বর্তমান সময়ে এটি পরিণত হয়েছে বাঙ্গালীর সার্বজনীন সামাজিক উৎসবে। আর এর মূল চিত্রটা ফুটে উঠে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পর্যটন রাজধানী সাগরকন্যা কক্সবাজারের বালিয়াড়িতে যখন বিজয়া দশমীর দিনে বিজয়ার মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নর-নারী ঢাক, ঢোল, ঘন্টা, কাঁসার শব্দ আর মহিলাদের উলুধ্বনি সহকারে সৈকতে হাজির হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শারদীয় দুর্গোৎসব সৃষ্টি করেছে সম্প্রতির একটি বিশাল ক্ষেত্র, আনন্দঘন কিংবা দুর্বল মুর্হুত্বে। আর সেটা বেশী লক্ষ্য করা যায় সমুদ্রের জলে মা দুর্গাকে বির্সজন দিয়ে যখন শুভ বিজয়ার কোলাকুলি ও মিষ্টি বিতরন করা হয় তখন।

এক অনাবিল আনন্দ ধারার মাঝে সকল জীবের শান্তির জন্য মহাশক্তি মহামায় মা দুর্গা আর্বিভূত হন। তিনি দূর্গতিনাশিনী, মহামায়া, আদ্যাশক্তি। বির্সজনের মাঝে মা দুর্গা বিদায় নেবেন, ভক্তরা আনন্দ, বিদ্বেষ পরিহার করে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যোকে মোরা পরের তরে এ আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে যাবে সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ার প্রত্যয়ে। এটাই হোক শুভ বিজয়ার মূল লক্ষ্য। (লেখক : কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, কক্সবাজার জেলা ও সদর উপজেলা শাখা।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION